ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী শুক্রবার হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন।
মৃত সৈকত মাহমুদ ঢাবির অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। তিনি ঢাবির বিজয় একাত্তর হলে থাকতেন।
হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুল বাছির বলেন, সৈকত সকাল ১০টার দিকে বুকে ব্যাথ্য অনুভব করেন এবং রুমমেটদের জানান। রুমমেটরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাধ্যক্ষ বলেন, হার্ট অ্যাটাকের কারণে সৈকতের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ঢাবি ক্যাম্পাসে জানাজা শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। ইউএনবি।
Education Board Bangladesh
Saturday, February 8, 2020
প্রধানমন্ত্রীকে স্বপ্ন লিখে পাঠালো ৬০০ ক্ষুদে শিক্ষার্থী
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে ২০১৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৬০০ মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ স্বপ্ন লিখে পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বরাবর।
প্রতি বছরের মতো এবারও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাপানভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অনুষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
পরে শিক্ষার্থীরা ৬০০ পোস্টকার্ডে নিজ নিজ স্বপ্ন লিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর পাঠিয়ে দেয়। এসব ক্ষুদে শিক্ষার্থী বড় হয়ে কী হতে চায় এবং কেমন বাংলাদেশ গড়তে চায়- তা লিখে পাঠায়।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রানী সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকার ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আবু সাইদ, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী ও হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের কান্ট্রি ডিরেক্টর আতাউর রহমান মিটনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
জেনে নিন ডা. দিপু মনি সম্পর্কে
ডা. দিপু মনি (জন্ম: ৮ ডিসেম্বর, ১৯৬৫) ; একজন বাংলাদেশী নারী রাজনীতিবিদ যিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীহিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের জয়লাভের পর বাংলাদেশে প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি নিয়োগ পান। ডা: দীপু মনি, এমপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী। দশম জাতীয় সংসদে ডা: দীপু মনি চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর- হাইমচর) এর প্রতিনিধিত্ব করছেন।সামাজিক উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে তাঁর অনন্য অবদানের জন্য তিনি মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক পুরষ্কারে ভূষিত হন। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে তিনি পুনরায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। ৬ জানুয়ারী ২০১৯ এ তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের অধীনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব পান।
দীপু মনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগের প্রথম কাউন্সিল-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এম.এ ওয়াদুদের কন্যা। তিনি হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে এলএলবি পড়েন। এমবিবিএস ডিগ্রি লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমঝোতা ও দ্বন্দ্ব নিরসন এর ওপর একটি কোর্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একজন আইনজীবী ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীণ সময়ে তিনি কমনওয়েলথ মিনিস্ট্রেরিয়াল অ্যাকশন গ্রুপ-এর প্রথম নারী এবং দক্ষিণ এশীয় চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন। এছাড়া তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমুদ্র জয় করে। এতে করে বাংলাদেশ সরকার প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে প্রায় চার দশকের সমুদ্র সীমা সংক্রান্ত অমীমাংসিত বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় চূড়ান্ত ভাবে নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করে।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এ্যাডভোকেট তৌফীক নাওয়াজ দীপু মনি`র স্বামী। তিনি আন্তর্জাতিক একটি ল’ফার্মের প্রধান। তিনি উপমহাদেশের দু’ হাজার বছরের ঐতিহ্য মন্ডিত ধ্রুপদী সঙ্গীতের উৎস হিসেবে পরিচিত ‘আলাপ’ এর একজন শিল্পী। তাঁদের রয়েছে দু’সন্তান। পুত্র তওকীর রাশাদ নাওয়াজ ও কন্যা তানি দীপাভলী নাওয়াজ।
ডা. দীপু মনি বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীহিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের জয়লাভের পর বাংলাদেশে প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি নিয়োগ পান।
সামাজিক উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে তাঁর অনন্য অবদানের জন্য তিনি মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক পুরষ্কারে ভূষিত হন।২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে তিনি পুনরায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। । ৬ জানুয়ারী ২০১৯ এ তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের অধীনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব পান।
দীপু মনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগের প্রথম কাউন্সিল-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এম.এ ওয়াদুদের কন্যা। তিনি হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে এলএলবি পড়েন। এমবিবিএস ডিগ্রি লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রিও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমঝোতা ও দ্বন্দ্ব নিরসন এর ওপর একটি কোর্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একজন আইনজীবী ।
দিপু মনি চাঁদপুর-৩ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়- প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীণ সময়ে তিনি কমনওয়েলথ মিনিস্ট্রেরিয়াল অ্যাকশন গ্রুপ-এর প্রথম নারী এবং দক্ষিণ এশীয় চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন। এছাড়া তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমুদ্র জয় করে। এতে করে বাংলাদেশ সরকার প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে প্রায় চার দশকের সমুদ্র সীমা সংক্রান্ত অমীমাংসিত বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় চূড়ান্ত ভাবে নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করে ।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এ্যাডভোকেট তৌফীক নাওয়াজ দীপু মনি`র স্বামী। তিনি আন্তর্জাতিক একটি ল’ফার্মের প্রধান। তিনি উপমহাদেশের দু’ হাজার বছরের ঐতিহ্য মন্ডিত ধ্রুপদী সঙ্গীতের উৎস হিসেবে পরিচিত ‘আলাপ’ এর একজন শিল্পী। তাঁদের রয়েছে দু’সন্তান। পুত্র তওকীর রাশাদ নাওয়াজ ও কন্যা তানি দীপাভলী নাওয়াজ।
গণতন্ত্র ও বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী এবং আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য মরহুম এম.এ. ওয়াদুদের কন্যা তিনি। । মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন।
দীপু মনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স ইউনির্ভাসিটির স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে এমপিএইচ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রীও অর্জন করেন এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এডুকেশন বাংলা থেকে নেওয়া ।
নতুন চিন্তাঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়য়ে প্রয়োজন মেধাবী শিক্ষক
শিশুদের দক্ষ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে চাই দক্ষ শিক্ষক। শিক্ষার মূল ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা মজবুত না হলে মাধ্যমিক, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা সফল হবে না। তাই প্রাথমিক শিক্ষাকে মজবুত করতে প্রয়োজন মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক। আর যথাযথ বেতন ও মর্যাদা দেওয়ার মাধ্যমেই কেবল এই মানের শিক্ষক পাওয়া সম্ভব। সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সাংবিধানিক ও আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
মানসম্মত শিক্ষার বিকল্প হিসেবে বিদ্যালয়কে আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানকে আরো কার্যকর করতে আধুনিক পদ্ধতি, কৌশল ও আকর্ষণীয় শিক্ষা উপকরণ দরকার। প্রতিটি শিশুকে জানানো প্রায়োজন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। ধর্মীয়, নৈতিক ও উন্নত চারিত্রিক গুণাবলি অর্জনে সহায়তা করা। এক্ষেত্রে শিক্ষক, বাব-মা, অভিভাবক, শিক্ষা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্যমী হতে হবে। বর্তমান যুগে একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো জাতির অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য ও প্রত্যাশা পূরণের উপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করা। বাংলাদেশ ২০২০-২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার যে লক্ষ্য স্থির করেছে, মানসম্মত শিক্ষা ছাড়া সেটি অর্জন সম্ভব নয়।
গ্রামীণ বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বৈচিত্র্যময় আর্থসামাজিক অবস্থা বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন এবং শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও বাড়তি সহায়তা প্রয়োজন কি না তা ভেবে দেখা জরুরি। বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের একটি অংশের অভিভাবকের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। আরেকটি অংশের বাবা-মায়েরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেছেন। বাকি একটি অংশ আসছে এমন পরিবার থেকে যাদের বাবা-মা প্রাথমিক পরবর্তী শিক্ষায় শিক্ষিত। বিভিন্ন আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি থেকে আসা ছাত্রছাত্রী যাতে শ্রেণিকক্ষে একটি সমধারা বা অভিন্ন পরিবেশে জ্ঞানার্জন করতে পারে, সেটি শিক্ষককে নিশ্চিত করতে হয়। শিক্ষক যাতে সেই ভূমিকা পালন করতে পারেন সেজন্য তাঁর উপযুক্ত প্রশিক্ষণ থাকা প্রয়োজন। অন্যদিকে, এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতি যে বাড়তি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন তা সহায়ক শিক্ষকের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে। মানসম্মত শিক্ষাদানে শিক্ষক প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। সরকারের প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই)সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শিক্ষক প্রশিক্ষণে ভূমিকা পালন করছে সত্যি, তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এক্ষেত্রে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও উদ্ভাবন চলছে তা পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ আমাদের শিক্ষকদের কতটুকু?
আমাদের দেশে চিকিত্সা, প্রকৌশল, স্থাপত্য, গবেষণা ইত্যাদি পেশায় জড়িতদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের যে সুযোগ রয়েছে, শিক্ষকদের জন্য তা তৈরি হয়েছে কি? আবার পেশাগত উত্কর্ষ সাধনের সঙ্গে ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধির বিষয়টি অঙ্গাঙ্গী জড়িত, যা শিক্ষকদের জন্য অত্যন্ত সীমিত। ফলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এ পেশায় আসতে আগ্রহবোধ করেন না। কাজের স্বীকৃতি যে কোনো পেশার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তির পেশাগত উত্কর্ষ সাধণে তা অনুপ্রেরণা জোগায়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বছরের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের স্বীকৃতির বিদ্যমান সরকারি ব্যবস্থাটিকে আরো উদ্ভাবনমূলক ও প্রসারিত করা প্রয়োজন। প্রাইভেট টিউশনির দাপট, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ার ঝোঁক, শূন্য শিক্ষকপদ, শিক্ষকমণ্ডলীরও আন্তরিকতার অভাব, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষিকার শিক্ষণ পরিবেশের অভাব এবং এ কারণে গুণমানের অভাব থাকলে শিক্ষিত হবার ক্ষেত্রটি থেকে যায় সংকুচিত। শিক্ষা যদি জাতির মেরুদণ্ড হয়, তবে শিক্ষকবৃন্দ সে মেরুদণ্ডের স্রষ্টা। গোটা মনুষ্যসমাজে নৈতিক বিচারে শিক্ষকদের চেয়ে সম্মানিত ও শিক্ষকতার চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পেশা আর একটিও নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যত্ বিশ্বে ১১টি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির একটি বাংলাদেশ। কিন্তু তাঁদের শঙ্কা শুধু শিক্ষায় পিছিয়ে থাকার কারণে অনেক প্রতিশ্রুতির সেই ভবিষ্যত্ মিথ্যা হয়ে যেতে পারে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের উদ্যোগী হতে হবে এবং তা এখনই। সুতরাং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে উপযুক্ত শিক্ষাই আবশ্যক। আর শিক্ষকতা পেশায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে যথার্থ সম্মান এবং সম্মানীর ব্যবস্থা করতে রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
এডুকেশন বাংলা/
কেউ কেউ শিক্ষার্থীদের নোট এবং গাইড কিনতে বাধ্য করছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, কোনো কোনো গাইড ও নোট বই মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান অনৈতিকভাবে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আর্থিকভাবে প্রলুব্ধ করে। তারা এসব নোট ও গাইড শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করে। এই নোট এবং গাইড বন্ধে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা-মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ও কলম্বো প্ল্যান স্টাফ কলেজের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দক্ষতাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ‘ঢাকা ঘোষণা’ জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দুই থেকে চার ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এই সম্মেলন হয়। সম্মেলনের ঢাকা ঘোষণায় মানসম্মত কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গাইড ও নোট বই ব্যবহার বন্ধ করতে চাই। সৃজনশীল পদ্ধতিতে এগুলোর প্রয়োজন হওয়ারও কথা না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে এসব বন্ধ করা সম্ভব না। সবার সহযোগিতা দরকার।’
চলিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বিতরণে ভুলের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংখ্যার হিসাবে এটানগণ্য। কিন্তু তাও-বা কেন হবে?
শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসব উত্তরপত্র আলাদাভাবে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়াহবে।
অভিযোগ উঠেছে, এবারের এসএসসি পরীক্ষার একটি প্রশ্ন হুবহু নোট বই থেকে করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা কে করেছেন, তা শনাক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তাঁরা দেখছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সাত হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। যেহেতু সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে এই নিয়োগ হয়, সে জন্য এটা করতে এক বছর বা এর চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি এ কে এম হামিদ।
সূত্রঃ প্রথম আলো
এসএসসি পরিক্ষায় প্রথম ৩ দিনে অনুপস্থিত সাড়ে ২৭ হাজার
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ১ম তিনদিনে প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল। এরমধ্যে ৩য় দিনে প্রায় ১১ হাজার পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। তার মধ্যে এসএসসির ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৫ হাজার ৮৬৯ জন এবং দুজন শিক্ষকসহ বহিষ্কার করা হয়েছে ৮১ জনকে। অন্যদিকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আরবি ১ম প্রত্র বিষয়ে প্রায় ৫ হাজার অনুপস্থিত এবং পাঁচজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা সেল থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার ৩য় দিনে ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের ১ হাজার ৬৫৮ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৫৫০ জন, রাজশাহী বোর্ডে ৬৯৮ জন, বরিশাল বোর্ডের ৪৩৭ জন, সিলেট বোর্ডের ৩৯৪ জন, দিনাজপুর বোর্ডের ৫১২ জন, কুমিল্লা বোর্ডের ৪১০ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫৩৬ জন এবং যশোর বোর্ডের ৬৭৪ জন পরীক্ষার্থীসহ মোট ৫ হাজার ৮৬৯ জন অনুপস্থিত ছিল। অনুপস্থিতির হার শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ।
এছাড়া এদিন ঢাকা বোর্ডের ৩৫ জন, রাজশাহী বোর্ডের ৪ জন, বরিশাল বোর্ডে ৬ জন, সিলেট বোর্ডে ৩ জন, দিনাজপুর বোর্ডের ১৫ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৬ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫ জন এবং যশোর বোর্ডে ৫ জনসহ মোট ৭৯ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া অনৈতিক কাজের জন্য দিনাজপুর বোর্ডের দুজন দায়িত্বরত শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সারাদেশে মোট ৪ হাজার ৯৮৪ অনুপস্থিত ছিল। অনুপস্থিতির হার ২ দশমিক ৪১ শতাংশ। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে ৫ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষার ১ম দিনে সাধারণ আট বোর্ডে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, কারিগরিশিক্ষাবোর্ডের অধীনে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি-প্রথম পত্র এবং মাদরাসা বোর্ডে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
১ম দিনের পরীক্ষায় সারা দেশে ৫ হাজার ৪৪৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। আর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচজন। তবে প্রথম দিনে কোনো শিক্ষক বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেনি। এ দিন সারাদেশে ১০টি বোর্ডের অধীনে তিন হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৪ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ২য় দিনে সারাদেশে ১০ হাজার ৯৬০ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে আজ সাধারণ ৮টি বোর্ডে বাংলা (অবশ্যিক) ২য় পত্র, সহজ বাংলা এবং মাদরাসা বোর্ডে হাদিস শরীফ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কোনো পরীক্ষা ছিল না।
Subscribe to:
Posts (Atom)